বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের রেটিং এজেন্সি আছে। সাধারণত এরা সবাই স্বাধীন বেসরকারি সংস্থা। এই ধরনের সংস্থাগুলো সাধারণত কোনো কোম্পানির স্বচ্ছলতা, ঋণপত্র, বাজার মূল্য, সম্পদ ব্যবস্থাপনার মান, এবং কোম্পানির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশকগুলোকে মূল্যায়ন করে। এছাড়াও, এই এজেন্সিগুলো প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোম্পানিকে গ্রেড প্রদান করে। সাধারণত এই ধরনের গ্রেড বর্ণ-ভিত্তিক হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, সর্বোচ্চ রেটিং AAA। শ্রেণিবিভাজন সাধারণত এরূপ হয়: AA, A, BBB ইত্যাদি। সর্বনিম্ন লেভেলকে D বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা দ্বারা “default” বুঝানো হয়। কোনো কোম্পানি যখন ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়, তখন ঐ কোম্পানিকে D গ্রেড প্রদান করা হয়। যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে AAA থেকে BBB পর্যন্ত রেটিং প্রদান করা হয়, সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ লাভজনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু কম রেটিং প্রাপ্ত কোম্পানি ঋণ ফেরত প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এরফলে এসব কোম্পানিকে ঋণের উপর উচ্চ সুদ প্রদান করতে হয়।

এছাড়াও, রেটিং এজেন্সিগুলো তিন ধরণের আউটলুক প্রদান করতে পারে:

• ইতিবাচক – যদি ইতিবাচক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রেটিং বৃদ্ধি পেতে পাবে।
• স্থিতিশীল – নেতিবাচক দিকে পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম, রেটিং কোনো পরিবর্তন নেই।
• নেতিবাচক – নেতিবাচক দিকে পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

সারা বিশ্বে ১০০ এর বেশি রেটিং এজেন্সি আছে, যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কোম্পানিকে মূল্যায়ন করে থাকে। এখানে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তিনটি রেটিং এজেন্সি সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দেওয়া হলো:

• ফিচ রেটিংস এর লন্ডন ও নিউ ইয়র্কে হেডকোয়ার্টার আছে এবং সারা বিশ্বে ৫০টির বেশি অফিস আছে।
• মুডিস। যুক্তরাষ্ট্র, বোস্টন। ২৬ টি দেশের ৪,৫০০ বিশেষজ্ঞ এই এজেন্সিতে কাজ করে।
• স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুরস। ইউএসএ, নিউ ইয়র্ক। ম্যাকগ্রাও-হিল এর অন্তর্ভুক্ত।